Latest

6/recent/ticker-posts

স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য | Tribute and short speech on the Death Anniversary of freedom fighter Khudiram Bose

বিপ্লবী কিশোর, স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

প্রিয় শিক্ষার্থীগন, 
১১ই আগষ্ট বিপ্লবী বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকী। যারা কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু সম্পর্কে জানার জন্য বা ক্ষুদিরাম বসু নিয়ে রচনা লেখার জন্য , ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অথবা ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবার জন্য ছোটো এবং ভালো ধরনের আর্টিকেল অনুসন্ধান করছেন, তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট।

বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose)

স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য


দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি বরণ করে নিয়েছিলেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose)। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ওই মহান বিপ্লবীর, তখন খাতায় কলমে ক্ষুদিরাম বসুর বয়স মাত্র ১৮ বছর।

বাংলার বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমানের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অখ্যাত হবিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন ত্রৈলোক্যনাথ বসু এবং তাঁর মার নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। ছোটবেলা থেকেই নিজের সর্বস্ব নিবেদন করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। একেবারে কৈশোরেই বিপ্লবী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। শ্রী অরবিন্দ ও ভগ্নী নিবেদিতার বক্তব্য তাঁর মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম। বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতিতে মাত্র ১৫ বছরে যোগদান করেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। এরইমধ্যে জীবনে আসে কঠিন অধ্যায়। নবম শ্রেণীর পর স্কুল ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর তাঁর পূর্ণ ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে স্বাধীনতা সংগ্রাম। স্কুল ছাড়ার পর ক্ষুদিরাম বিপ্লবী দলের সদস্য হন এবং বন্দেমাতরম পত্রিকা বিতরনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। 

বিপ্লবী বীর ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose)
জন্মঃ ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ 
মৃত্যুঃ ১১ আগস্ট ১৯০৮

১৯০৮-এ তাঁর কাঁধে দেওয়া হয় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব। সেই কাজে তাঁর সঙ্গী ছিলেন আর এক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী। মুজফ্ফরপুরের অত্যাচারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় তাঁদের ওপর। ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী বিহারের মুজফ্ফরপুরে পৌঁছন এবং সুযোগ বুঝে কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়েন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ওই গাড়িতে ছিলেন আর এক ব্রিটিশ অফিসার কেনেডির স্ত্রী ও মেয়ে। তাঁরা এই ঘটনায় মারা যান। বেঁচে যান অত্যাচারী কিংসফোর্ড। 

এরপর ক্ষুদিরামকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। প্রফুল্ল চাকী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগেই আত্মহত্যা করেন।মৃত্যুদণ্ড হয় ক্ষুদিরামের। তিনি যেদিন শহিদ হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর ৮ মাস ৮ দিন। ১৯০৮-এর ১১ অগাস্ট মুজফ্ফপুর জেলে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ভগবত গীতা হাতে ফাঁসি কাঠের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছিলেন অকুতোভয় বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম।ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে ক্ষুদিরাম বসু ছিল একজন ব্যতিক্রমী মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুঞ্জয়ী বীর ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান আজও দেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা যোগায়। 


Post a Comment

1 Comments